ঈদের পরে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। এ জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় এজেন্ডার বাইরে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনারোধে তিনি ৬টি নির্দেশনাও দিয়েছেন।
সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা হলো-
* বাসের চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে
* লংরুট বা দীর্ঘপথে কখনই একজন চালক ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প ড্রাইভারের ব্যবস্থা করতে হবে
* রাস্তার পাশে চালক ও হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে।
* যাত্রীদের অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা পারাপার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
* সড়ক পথের সিগন্যাল শতভাগ মেনে চলতে হবে। সবাই যাতে সিগন্যাল মেনে চলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
* প্রত্যেক পরিবহনে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বেঁধে রাখতে হবে। সিটবেল্ট না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম
সাংবাদিকদের বলেন, (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
কেন এসব নির্দেশনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঈদের পর বেশ কিছু মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। আমরা যখন (কেবিনেট) মিটিং শুরু করি তখন টাঙ্গাইলে ৫ জন মারা গেছে।’
শফিউল বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মাঝে মধ্যে বসে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা তাদের নিয়মিত দায়িত্বের মধ্যেই আছে।
সিটবেল্ট না বাধায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে জানিয়ে শফিউল বলেন, মিশুক মনিরের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তিনি গাড়ির সামনে সিটবেল্ট ছাড়া বসেছিলেন।
সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে এ সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করা হচ্ছে জানিয়ে শফিউল বলেন, আইনটি এখনো পাস হয়নি, ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে, দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটি শেষে ফিরতিযাত্রার গত ২৩ জুন ১২ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। আর গাইবান্ধা থেকে ট্রাকে করে হবিগঞ্জে যাওয়ার পথে আজ সকালে টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ গেছে আরও ৫ জনের।